সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি নিয়ে সুখবর দিল সিলেট। প্রথমবারের মতো সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট যাচ্ছে স্পেন। ২৭ এপ্রিল গার্মেন্টপণ্য নিয়ে সিলেট থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে ডানা মেলবে মাল্টাভিত্তিক গ্যালিস্টার ইনফিনিটি অ্যাভিয়েশনের ফ্লাইট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্পেনে গার্মেন্টপণ্য পাঠানোর মাধ্যমে ইউরোপের বাজারে রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
সিলেটে একটি প্যাকেজিং হাউস নির্মাণ করা গেলে যুক্তরাজ্যসহ প্রবাসী অধ্যুষিত ইউরোপের দেশগুলোতে এ অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সিলেট থেকে বহির্বিশ্বে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। সিলেট অঞ্চলে উৎপাদিত গোয়ালগাদ্দা শিম, নাগা মরিচ, খাসিয়া পান, তইকর, ফরাশ ও শিমের বিচি, ঢাকাদক্ষিণের কচুমুখী ও লতি এবং সাইট্রাস ফল হিসেবে পরিচিত জারা লেবু, আদালেবু ও সাতকরার প্রচুর চাহিদা রয়েছে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। মূলত ইউরোপের যেসব দেশে সিলেটিদের বসবাস বেশি সেখানেই এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সিলেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার পর ওসমানী হতে পারে রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল জব্বার জলিল জানান, ওসমানী থেকে ইউরোপে গার্মেন্টপণ্য রপ্তানি শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানির নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এখন ব্যবসায়ীরা শুধু রপ্তানি নয়, ইউরোপ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিও করতে পারবেন। তবে সিলেটে একটি প্যাকিং হাউস করা না গেলে কার্গো হাউস নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। শুধু একটি প্যাকিং হাউস করা গেলে সিলেট অঞ্চল থেকে পুরো ইউরোপের বাজারে বিভিন্ন জাতের কৃষি পণ্য রপ্তানি করা যাবে। এতে রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলেও কৃষি বিপ্লব হবে।