সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
প্রতি বছর এডিস মশার থাবায় প্রাণ হারায় মানুষ। তাই ডেঙ্গুজ্বর ঠেকাতে আগাম পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি এলাকায় ১ হাজার হটস্পট শনাক্ত করে মশক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আধুনিক ফাঁদ বসিয়ে মশক নিধনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সচেতনতা কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ৫ হাজার শিক্ষার্থী।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগে থার্ড পার্টিকে দিয়ে মশক নিধনের কাজ করানো হতো। এতে অনেক সময় মশার ওষুধ না ছিটানো, সময়মতো না যাওয়ার ঘটনা ঘটত। এটা যেহেতু জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় তাই এখানে অবহেলার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘মশা প্রজননের ১ হাজার ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। মশক নিধনে আধুনিক ফাঁদের ব্যবস্থা করেছি। যেসব জায়গায় জলাধার বেশি এবং মশার আনাগোনা বেশি যেমন, উত্তরা, খিলক্ষেত, যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে মশক নিধনের আধুনিক ফাঁদ স্থাপন করা হবে। এবার আক্রান্ত ও প্রাণহানি প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম ধারণা নিতে এডিস মশার জরিপ হয় প্রতি বছর তিনবার-বর্ষার আগে, বর্ষার সময় ও বর্ষার পরে। এডিস মশার ঘনত্ব দেখে আগাম ধারণা পাওয়া যায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ কতটুকু হবে। এসব জরিপ হয় মূলত ঢাকার দুই সিটিসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে। এ বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল কর্মসূচি (ওপি) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে মশার জরিপ হয়নি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ষার আগে লার্ভা পরিস্থিতি জানতে জরিপটি পরিচালনা করেছে। তবে এখনো ফল প্রকাশ করেনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘মশা প্রজননের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা হচ্ছে ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা যদি ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে হয়, তখন যে কোনো মশার প্রজনন কমে যায়। তাপপ্রবাহে মশার প্রজনন কমলেও বৃষ্টিপাত হলেই মশার প্রজনন বাড়তে শুরু করবে।