Editor Panel
- ১২ মে, ২০২৫ / ৫১ Time View
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ফলে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বিষয়টি সবাই গ্রহণ করে নিয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের সরকার।
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ শেষ কবে ভোট দিয়েছিল ভুলে গেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার দায়ে। তারা দেশের মানুষের সব অধিকার খর্ব করেছিল।
অভ্যুত্থানের পক্ষের সবার সঙ্গেই পরামর্শ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ’তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১৪শ’ মানুষকে হত্যার তথ্য উঠে এসেছে। আমাদের হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই।
তারা যে কাউকে জঙ্গি বানিয়েছে। এখন নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ’সংবাদ কর্মীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সংবাদ-কর্মীদের সুবিধার বিষয়ে ইউনিয়নগুলোর কথা বলা উচিত। তারা মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নগুলো গত ১৫ বছরে পূর্বাচলের প্লট নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
সাংবাদিকদের স্বার্থে তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি। আমাদের সাংবাদিকদের তারা ভয়াবহভাবে ঠকিয়েছে। ’সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত বেতন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের বেতন তিরিশ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত নয়। এটা শুধু আর্থিক ব্যাপার নয়, পেশার মর্যাদার সঙ্গেও সম্পর্কিত। বেতন দিতে না পারলে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ’
এসময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন সোহেলসহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস