ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, জাতগণনা প্রথম ধাপ। তফসিলি জাতি, জনজাতির সঙ্গে ওবিসিদের সংখ্যা গণনা করলেই হবে না।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
কাশ্মীরের পেহেলগাঁও হামলার জবাবে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের প্রশ্নে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস মোদি সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ১০ দিন কেটে গেলেও প্রত্যাঘাত বা হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধান না পাওয়ায় মোদি সরকারের ‘পারদর্শিতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
মোদি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, পেহেলগাঁও ঘটনার অনেক দিন পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও স্পষ্ট রণনীতি দেখা যায়নি।
শুক্রবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে পেহেলগাঁও হামলার জবাব নিয়ে মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা চরণজিৎ সিং চন্নী বলেছেন, “উরির হামলার জবাবে সার্জিকাল স্ট্রাইকের এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলওয়ামার জবাবে বালাকোটে বিমান বাহিনী বোমা ফেলেছিল বলে যে দাবি, তা-ও কেউ জানতে পারেনি। আমাদের দেশে বোমা পড়লে আমরা কি জানতে পারতাম না?”
কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বঘেল নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, “হামলায় প্রাণহানির দায় কে নেবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? প্রতিরক্ষামন্ত্রী? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কি এই ঘটনার পরে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল না?”
পেহেলগাঁওয়ের ঘটনার প্রত্যাঘাত কবে হবে, দেশজুড়ে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে আচমকা মোদি সরকারের জাতগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েও কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, পেহেলগাঁওয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং তারপরে প্রত্যাঘাত করতে দেরি হওয়া থেকে নজর ঘোরাতেই কি আচমকা জাতগণনার সিদ্ধান্ত? অথচ গত ১১ বছর ধরে বিজেপি জাতগণনার বিরোধিতা করে আসছে।
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, জাতগণনা প্রথম ধাপ। তফসিলি জাতি, জনজাতির সঙ্গে ওবিসিদের সংখ্যা গণনা করলেই হবে না।
কংগ্রেসের দাবি, তেলঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার জাতগণনার সময় ৫৬টি প্রশ্ন নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতগণনার কাজ শেষ করে জনসংখ্যায় ভাগ অনুযায়ী তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসিদের সংরক্ষণ দিতে হবে। তার জন্য সংরক্ষণে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে হবে।
কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট বলেন, ‘‘জাতগণনাকে এতদিন বিজেপি ভোটের বিভাজন বলে দাবি করছিল। বিজেপির এক বড় নেতা (যোগী আদিত্যনাথ) বলেছিলেন, বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়। জাতগণনাকে শহুরে নকশালদের ভাবনা বলেছিলেন তিনি। ”
ভূপেশ বঘেল বলেন, “নিতিন গডকড়ী বলেছিলেন- জাতের কথা বললে লাথি খেতে হবে। এখন সেই বিজেপিই জাতগণনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাক পেটাচ্ছে। রং বদলানোর প্রতিযোগিতায় বিজেপি গিরগিটিকেও লজ্জায় ফেলে দেবে। ” সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার