শনিবার, ২১ Jun ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া সেই ব্যক্তি বেঁচে আছেন। তার নাম মতিউর রহমান (৪০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
ঘটনাটি রোববার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার। সেদিন বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার নশরৎপুর স্টেশনে বগুড়া থেকে সান্তাহার অভিমুখী একটি কমিউটার ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে। পরে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে অনেকেই ধারণা করছিলেন, ট্রেনের জানালা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা ওই ব্যক্তি পরবর্তীতে প্লাটফর্মে আসতে ট্রেনের নিচে চলে যাওয়ায় মারা গেছেন।
তবে স্বজনরা বলেন, স্ট্রেশনের প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মতিউর নিচে পড়ে যান। কোনোভাবেই তার বেঁচে থাকার অবস্থা ছিল না। কিন্তু আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে ট্রেনের চাকা স্পর্শ করেনি। এভাবে মতিউরের বেঁচে থাকাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন তারা।
এ বিষয়ে মতিউর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ১৫ দিন আগে আমার বাবা বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার তালশন গ্রামের মোহাম্মদ হেলালের ছেলে সজিব হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন। সৌদি আরবে পাঠানো বাবদ তার কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে যেয়ে বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় সজিব তার বাবাকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে গত ৭-৮ দিন আগে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার জের ধরে বগুড়া থেকে ট্রেনে বাড়িতে ফেরার পথে সজিবের ছোট ভাই রাকিব এবং সজীবের শ্যালকরা আমার বাবাকে মোবাইল চোর বলে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাবা খুব কষ্ট করে প্রায় ৪-৫ মিনিট ট্রেনের সঙ্গে ঝুলে ছিল। ট্রেনটি আদমদিঘী উপজেলার নশরৎপুর স্টেশনে এলে সেখানকার প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আমার বাবা ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। ট্রেনের নিচে পড়লেও বাবা কোনরকম প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সেখানকার উৎসুক জনতা বাবাকে মোবাইল চোর এবং ছিনতাইকারী ভেবে বেধরক মারধর করতে থাকেন।
এদিকে, মতিউরকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে ছেলের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বগুড়া থেকে আসার সময় সজীবের শ্যালকেরা ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে মতিউরকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে রাকিব সেখানে কিছুই করেনি। ট্রেনে কি হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।