শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বিসিবি নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন তামিম ইকবাল বাজেট দ্বন্দ্বে তহবিল বন্ধ, অনির্দিষ্টকালের শাটডাউনে যুক্তরাষ্ট্র দুই জেনারেল এখন মোদির আশ্রয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা জামায়াত নেতা তারেক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম হত্যা তদন্তে মেহেরপুরে ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা ফেসবুকে ভুয়া প্রার্থী তালিকা, বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান রিজভীর অগ্নিসংযোগের দায় বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপাতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার মাত্র একটি শর্ত মানলে নতুনরাও পাবেন মনিটাইজেশন ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হলো ভুয়া খবর প্রচার: প্রধান উপদেষ্টা

দুই জেনারেল এখন মোদির আশ্রয়ে

পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত এবং ভারতীয় ডিপ স্টেট তথা গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদস্থ দুই কর্মকর্তা লে. জেনারেল (বরখাস্ত) মো. মুজিবুর রহমান এবং লে. জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্রয়ে।

অধিকাংশেরই ধারণা ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, আয়নাঘর, হাসিনার ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দল দমনসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এই দুই সাবেক জেনারেল হয়তো ভারতেই আশ্রয় নিয়েছেন। একাধিক নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক সূত্র আমার দেশকে নিশ্চিত করেছে, খুনের দায়ে অভিযুক্ত এই দুই জেনারেল সপরিবারে এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন।

দিল্লিতে থাকা শেখ হাসিনার সঙ্গে এই দুই জেনারেলের যোগাযোগ এখন নিয়মিত। কলকাতায় বসে তারা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে কীভাবে আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা যায় ভারতের ডিপ স্টেটের সঙ্গে মিলে সেই ষড়যন্ত্রই করছে। রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই জেনারেলের পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া খুবই উদ্বেগের বিষয়।

এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি। নানা অপরাধে জড়িত এই দুই জেনারেলকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে তাদের স্বার্থে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যবহারের জন্য। বিশ্লেষকরা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করা। একই সঙ্গে অপরাধীদের ভারত যে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তা আন্তর্জাতিক বিশ্বকে জানানো। এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর পক্ষ থেকে আমার দেশকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

জুলাই বিপ্লবের পর শেখ হাসিনাসহ তার যেসব সহযোগী ভারতে পালিয়ে গেছে তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেস তৈরি করছে ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। সেই ডেটাবেসে জেনারেল মুজিব, জেনারেল আকবর এবং তাদের সঙ্গে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৭৩৪ জনের তথ্যসম্বলিত ওই ডেটাবেসটি এখন আমার দেশ-এর হাতে। ডেটাবেসে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিচয়, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় ঠিকানা, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর এবং ব্যবহৃত টেলিফোন নম্বরসহ সঙ্গে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

ভারতের ইন্টিলিজেন্স ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী লে. জেনারেল (বরখাস্ত) মো. মুজিবুর রহমান তার স্ত্রী তাসরিন মুজিব, ছেলে আসওয়াত আকসির মুজিব ওয়াসী, পুত্রবধূ তাহাসিন হোসেন ত্রিপা, নাতি আহসান সনজর মুজিব এবং মেয়ে রুবাইয়া মুজিবকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস করছেন। জেনারেল মুজিবের কাছে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর ডি-০০০১২৬৭৫। কলকাতায় তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর +৯১৮৪১৪৯৬৭০৩০। ১৮তম লং কোর্সের এই আলোচিত সেনাকর্মকর্তা যার বিএ নম্বর ৩৪২১। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পরও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে বরখাস্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সূত্রগুলো আমার দেশকে জানিয়েছে, জেনারেল মুজিব গত বছর ৫ আগস্টের বেশ কিছুদিন পর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। জেনারেল মুজিব শেখ হাসিনার খুবই বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। আর্মড ফোর্সেস এবং পুলিশের মধ্যে ‘র’ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। জেনারেল মুজিব বাংলাদেশে ‘র’-এর কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চিহ্নিত। বিমান বাহিনীতে ‘র’-এর শ্যাডো রিক্রুটার হিসেবে কাজ করা স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামগ্রিক তদন্তে বেরিয়ে আসে সামরিক বাহিনীতে ‘র’-এর নেটওয়ার্ক ও জেনারেল মুজিবের সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে টানা ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেন জেনারেল মুজিব ও তার নেটওয়ার্কের সদস্যরা।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, জুলাই বিপ্লব চলাকালে সেনাবাহিনীতে ভারতপন্থি ক্যু করানোর জন্যও জেনারেল মুজিব আপ্রাণ চেষ্টা করেন। প্রথমে ২০২৪ সালের ২ আগস্ট এবং পরে শেখ হাসিনার পলায়নের পরদিন ৬ আগস্ট তিনি ক্যু করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং সে দেশের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় শেখ হাসিনার ভারতে পলায়নের ‘মোদির রেসকিউ মিশন’ সফল করার ক্ষেত্রেও জেনারেল মুজিবের বিশেষ ভূমিকা ছিল।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইন ঘোষণা করার জন্য তিনি কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাবরেজ শামস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, মেজর জেনারেল হামিদুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদের সঙ্গে একাধিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন। কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের সঙ্গে মিলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, আয়নাঘর ইত্যাদির মতো সব অপরাধের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অনুগত না হওয়া এমন অনেক কর্মকর্তার কর্মজীবন ধ্বংস করার সঙ্গে জড়িত। স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

এসএসএফ-এর সাবেক ডিজি জেনারেল মুজিব ‘র’-এর কো-অর্ডিনেটর হিসেবে শুধু দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই নড়বড়ে করে দেননি, তিনি নানা অপকর্মের হোতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতিও করেছেন। র‌্যাবের অতিরিক্ত পরিচালক থাকাকালীন সব গুম ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে মুজিব জড়িত ছিলেন। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া (আইকেবি) তার ফেসবুক পোস্টে ‘বিজিবি, র‌্যাব, এসএসএফ ও আনসার নিয়ে আমার যত অভিজ্ঞতা’ বিষয়ে মুজিবকে নিয়ে লেখেন : ‘যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দিত তা ছিল র‌্যাব-এ প্রেষণে থাকা আমাদের অফিসারদের দ্বারা সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অপহরণ ও হত্যা। তরুণ ক্যারিয়ারমুখী অফিসারদের র‌্যাবে পাঠানো হতো, সেখানে কিছুদিন কাজ করে তারা এমন এক চরিত্র নিয়ে ফিরত, যেন তারা পেশাদার খুনি। একই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছিল জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও), নন-কমিশন্ড অফিসার (এনসিও) এবং সৈনিকদের মধ্যেও।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর যে বর্বরতম হামলা হয়, তারও পরিকল্পনাকারী ও অপারেশন পরিচালনার অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন মুজিব। র‌্যাবের জিয়াউল আহসান সৃষ্টি হয়েছে মুজিবের হাতে। র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, মুজিবের কাছে জিয়াউল ছিল শিশু। যদিও জিয়াউলের নাম নৃশংসতার জন্য যতটা আলোচিত হয়েছে, চতুর মুজিবের নাম ততটা হয়নি।

দুর্নীতির অভিযোগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিব ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। দুদকের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের ৩৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং তাদের নামে থাকা ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, খিলক্ষেত ও পূর্বাচল এলাকায় থাকা ১০টি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছে।

শেখ হাসিনার আরেক একান্ত অনুগত এবং ভারতের ডিপ স্টেটের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ গুম, খুনের সঙ্গে জড়িত দুটি ভুয়া নির্বাচনের মূল কারিগর লে. জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন জুলাই বিপ্লবের পর কোনো এক সময়ে ভারতে পালিয়ে যান। জেনারেল আকবর তার স্ত্রী সুফিয়া আকবরকে নিয়ে এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। তার কাছে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর ডি-০০০১১৯০০।

কলকাতায় তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর + ৯১৮৪১৩৯৭২৮৩৪। ১৩তম লং কোর্সের এই সাবেক জেনারেল যার বিএ নং-২৮৯০, তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত। ডিজিএফআই-র সাবেক প্রধান এই তিন তারকা জেনারেল বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, আয়নাঘরে নির্যাতন, বিরোধী দল দমনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার মতো নানা অপরাধের অন্যতম প্রধান হোতা। জেনারেল মুজিবের মতো তিনিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় ডিপ স্টেট ‘র’-এর অনুপ্রবেশ ঘটানোর অন্যতম কারিগর।

২০১৪ সালের বিনাভোটের এবং ২০১৮ সালের রাতের ভোটের মূল মাস্টার মাইন্ড ছিলেন এই বিতর্কিত জেনারেল। ২০১৪ সালের একতরফা বিনা ভোটের নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি-জামায়াত এবং অন্যান্য বিরোধী দল। এমনকি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং তখন ঢাকায় এসে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে যেতে এরশাদের ওপর চাপ দেন। তবে এরশাদ তাতে রাজি হননি। পরবর্তী সময়ে দিল্লির নির্দেশে তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান জেনারেল আকবর এরশাদকে তার বাসা থেকে জোর করে তুলে এনে সিএমএইচ-এ বন্দি করে রাখেন এবং জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করে।

বহুল আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অন্যতম হোতা ছিলেন এই সাবেক সেনাকর্মকর্তা। তিনি এখন কলকাতায় বসে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে পুনর্বাসনের জন্য ভারতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তৎপর। ইতোমধ্যে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে সাবেক এই জেনারেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে দুই জেনারেলের পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। তিনি এ প্রসঙ্গে আমার দেশ-এর সঙ্গে আলাপে বলেন, ঘটনাটি খুবই উদ্বেগের। বাংলাদেশের দুজন জেনারেল ভারতকে তাদের জন্য নিরাপদ মনে করেছে। ভারত তাদের আরাম-আয়েশ বা বিনোদন করার জন্য আশ্রয় দেয়নি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানো এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার দিল্লির প্রচেষ্টার সঙ্গে এই দুই জেনারেল এখন নিশ্চিতভাবেই যুক্ত। এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি।

ভারতের এসব তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য হলো জুলাই অভ্যুত্থানে তারা বাংলাদেশে যা হারিয়েছে তা আবার ফিরে পাওয়া। গুম-খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত এই দুই জেনারেলকে ভারতের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার পরামর্শ দেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এম মুনিরুজ্জামান দুই জেনারেলের পালানোর ঘটনাকে গুরুতর আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত হওয়া উচিত। প্রথমে শুনলাম জেনারেল মুজিব আটক আছেন। পরে জানলাম তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়টি তদন্ত হওয়া উচিত। তারা কোনো অপরাধ করলে অবশ্যই তাদের বিচারের মুখোমুখি করা দরকার।

এদিকে ভারতীয় এজেন্ট এই দুই জেনারেলের পালিয়ে যাওয়া এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আইএসপিআর-এর পরিচালক লে. কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, তাদের পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024