শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সীমান্তজুড়ে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে একাধিকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটনকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতের রাজ্য সরকার।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে ফের বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করছে ভারত সরকার।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কাশ্মীরজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীদের একাধিক ‘স্লিপার সেল’। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলেই এই সতর্কতা। ঝুঁকি এড়াতে মোট ৮৭টি পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেয় ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে পাকিস্তানিদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়, বাতিল করা হয় সব ধরনের ভিসা। একইসঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে ভারত-পাকিস্তান চুক্তিভিত্তিক সিন্ধু নদের পানিবণ্টনের কার্যক্রমও।
পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করেছে, নিষিদ্ধ করেছে ভারতের জন্য আকাশসীমা ব্যবহার এবং বন্ধ করেছে সবধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের নেতাদের বক্তব্যে যুদ্ধাবস্থার ইঙ্গিত স্পষ্ট হলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন—ভারতের হাতে এখনো পর্যন্ত পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ নেই। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনো সামরিক পদক্ষেপের ন্যায্যতা পাওয়া কঠিন হতে পারে।
তবে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা যদি বাড়তে থাকে, তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।