সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
আগামী ২৪ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
এমন উত্তেজনার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইল বিধ্বংসকারী আইএনএস সুরাত সফলভাবে সামুদ্রিক অঞ্চলে একটি দ্রুত, নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া মিসাইল ধ্বংস করেছে। এরমাধ্যমে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরেকটি মাইলস্টোন অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, পাকিস্তানের নৌ কর্মকর্তারা করাচি উপকূলে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সারফেস টু সারফেস মিসাইলের পরীক্ষা চালাবে। যা ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এদিকে পেহেলগামে হামলার জেরে ভারত যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলোকে “শিশুসুলভ” বলে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। এছাড়া ভারতের এসব কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইসলামাবাদ। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, আমরা বৈঠকে ভারতকে যোগ্য জবাব দেব, এই জবাব কম হবে না।
উল্লেখ্য, পেহেলগামের ঘটনার পর ভারত একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়—বাতিল করে ১৯৬০ সালের ইন্দাস জলচুক্তি, বন্ধ করে দেয় ওয়াঘা সীমান্তের অ্যাটারি চেকপোস্ট, বাতিল করে পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম’ এবং ইতিমধ্যে দেওয়া ভিসাগুলোও বাতিল ঘোষণা করে। ভারতের ভিসায় বর্তমানে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে দু’দেশের হাইকমিশনে কর্মরত কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত, যা কার্যকর হবে ১ মে থেকে। এটি ২০২০ সালের পর সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: দি ইকোনমিক টাইমস