২০১২ সালে ইসরায়েলের দৈনিক হারেৎজ-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ল্যান্ডাউ লিখেছিলেন, ‘রানি এলিজাবেথ একজন দৃঢ়চেতা নারী। কারও কথায় চলতেন না।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান, এমনটাই ভাবতেন ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রেউভেন রিভলিন এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক কোনো অনুষ্ঠানের বাইরে রানি কখনোই বাকিংহাম প্যালেসে ইসরায়েলিদের প্রবেশ করতে দিতেন না।
রিভলিন বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে রানির সম্পর্ক একটু জটিল ছিল।
’ ৭০ বছরের শাসনকালে তিনি ১২০টিরও বেশি দেশ সফর করলেও কখনো ইসরায়েল যাননি।
গত রবিবার (১২ এপ্রিল), লন্ডনের হাইফার টেকনিয়ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেন রিভলিন। পরে সাংবাদিকেরা বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই কথাগুলো আমারই এবং আমি ঠিকই বলেছি। ’
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রানির মৃত্যু হয়।
২০১২ সালে ইসরায়েলের দৈনিক হারেৎজ-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ল্যান্ডাউ লিখেছিলেন, ‘রানি এলিজাবেথ একজন দৃঢ়চেতা নারী। কারও কথায় চলতেন না।
ধারণা করা হয়, ১৯৪০-এর দশকে ফিলিস্তিনে ‘ব্রিটিশ ম্যান্ডেট’ শাসনের বিরুদ্ধে ইহুদি জায়নবাদী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কারণে রানির মনে ইসরায়েল নিয়ে বিরূপ মনোভাব গড়ে ওঠে।
১৯৮৪ সালে জর্ডান সফরে গিয়ে পশ্চিম তীরের ওপর দিয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়তে দেখে রানি মন্তব্য করেন, ‘কী ভয়ানক!’ জর্ডানের রানি নূর সায় দিয়ে বলেন, ‘সত্যিই ভয়ানক। ’ পরে একটি মানচিত্র দেখে তিনি বলেন, ‘কী বিষণ্ন একটা মানচিত্র এটি!’
রিভলিনের মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রানির একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাঁকে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ কিফায়া পরা অবস্থায় মিমে দেখানো হয়।
২০১৮ সালে রানির নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ইসরায়েলের স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষে দেশটি সফর করেন।
রিভলিন আরও বলেন, ‘রাজা চার্লস (তৎকালীন প্রিন্স) ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আমাদের রাজপরিবারের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ’ ২০২০ সালে চার্লস ইসরায়েল ও দখলকৃত পশ্চিম তীর সফরে গিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতে সব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সমতা পাবে। এটাই আমি চাই। ’
সূত্র: তেহরান টাইমস