শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকারের মুখপাত্র মাওলভি জবিহুল্লাহ মুজাহিদ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কুনারের নুরগাল জেলার মাজার দারা এলাকার বাসিন্দা সাদিকুল্লাহ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, গভীর রাতে প্রবল শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। মনে হচ্ছিল ভয়ংকর ঝড় আসছে। সঙ্গে সঙ্গে সন্তানদের ঘরে ছুটে গিয়ে তিনজনকে বের করেন। কিন্তু বাকি সন্তানদের আনতে ফের ঢুকতেই ছাদ তাঁর ওপর ভেঙে পড়ে।
সাদিকুল্লাহ বলেন, ‘আমি আধা-পুঁতে গিয়েছিলাম, বের হতে পারছিলাম না। আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে মারা গেছে। বাবাও আহত হয়ে আমার সঙ্গে হাসপাতালে আছেন। আমরা তিন থেকে চার ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে আটকে ছিলাম। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের বের করে।’
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি নুরগালে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তার পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে, বয়স্করা ধ্বংসস্তূপের নিচে, তরুণরাও ধ্বংসস্তূপের নিচে। আমাদের সাহায্য দরকার। এখানে এসে মানুষজনকে বের করতে হবে। লাশগুলো সরানোর মতো কেউ নেই।’
সরকার জানিয়েছে, দুর্গম এলাকায় সড়ক বন্ধ থাকায় উদ্ধারকাজে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে উদ্ধার দলগুলোও কাজ শুরু করেছে।