মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

ইরানে হামলা করতে চান ট্রাম্প

দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের অতর্কিত ও অবৈধ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরান। দুই দেশের চলমান যুদ্ধে অংশ নিতে ‘অত্যন্ত উৎসুক’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না—সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সেই গোপন সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ইরানে হামলার বিষয়টি তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবছি। তবে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই শেষ মুহূর্তে, যখন সময় শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড বাকি থাকে।’

সূত্র জানায়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্ত হওয়ার হুমকি দিয়ে তেহরানকে চাপের মুখে ফেলে নিজের শর্ত মানতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প। তবে তিনি এখনো জানিয়েছেন, হামলা নাও করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একাধিক বিকল্প এখনো টেবিলে আছে। ট্রাম্প লক্ষ্য রাখছেন, ইসরায়েল কীভাবে অভিযান চালায়।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, সামরিক নেতৃত্ব ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করে। মঙ্গলবার তারা ইরানে অন্তত ১ হাজার ১০০ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি ঘাঁটিতে ৮টি হেলিকপ্টার এবং পশ্চিম ইরানে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর অংশ ছিল।

পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানে হামলার নানা পরিকল্পনা বিবেচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট কোনো চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত রয়েছে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন থেকে রক্ষা করার সহায়তায়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন গতকাল বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে যোগ দেন। তার আগে তাঁরা কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।

যদিও হামলার পরিকল্পনা এগিয়ে চলেছে, তবে ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধান করতেই বেশি আগ্রহী—বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বুধবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি (হামলা) করতে পারি, আবার নাও করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ইরানকে শর্তহীন আত্মসমর্পণ করতেই হবে—‘পরবর্তী সপ্তাহটা খুব বড় হতে যাচ্ছে, হয়তো এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে।’

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024