শনিবার, ২১ Jun ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন

বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির দাবি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট আলোচনাকে কার্যকরী ও গঠনমূলক বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হি লাইফেং বলেছেন, আলোচনা গভীর এবং স্পষ্ট অবস্থানমূলক ছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে চীনের বিরুদ্ধে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর প্রথম বৈঠকে এই জুটি গোপনে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বসেন।

ট্রাম্প চীনা আমদানির উপর ১৪৫% শুল্ক আরোপের পর এই আলোচনা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। যার প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং কিছু মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছিলো।

বিশাল শুল্কের ফলে আর্থিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আলোচনার সম্পূর্ণ বিবরণ সোমবার যৌথভাবে প্রকাশ করা হবে।

জেনেভায় দুই দিনের আলোচনার সমাপ্তির পর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত জেমিসন গ্রিয়ার বলেছেন, আমাদের চীনা অংশীদারদের সাথে আমরা যে চুক্তি করেছি তা যুক্তরাষ্ট্রের ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে।

বেসেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা কমাতে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে। অন্যদিকে চীনের ভাইস প্রিমিয়ার বলেছেন যে আলোচনা দুই দেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের উপরও এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। 

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকগুলো বাস্তবসম্মত হয়েছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিদর্শক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়ালা আলোচনাকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি উভয় দেশকে উত্তেজনা প্রশমন, পূর্বাভাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় আস্থা জোরদার করার জন্য বাস্তব সমাধান বিকাশ অব্যাহত রেখে এই গতিতে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার আলোচনার প্রথম দিনের পর ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সম্পূর্ণ পুনর্নির্মাণের প্রশংসা করেছেন।

 

একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আলোচনাকে খুব ভালো বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন,  পরিবর্তন বন্ধুত্বপূর্ণ কিন্তু গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের মঙ্গল এবং আমেরিকান ব্যবসার জন্য চীনের উন্মুক্তকরণ দেখতে চাই। দুর্দান্ত অগ্রগতি হয়েছে।

ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে চীনা আমদানিতে ১৪৫% শুল্ক আরোপ করেছেন। চীন কিছু মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করে প্রতিশোধ নিয়েছে।

শুক্রবার আলোচনা শুরু হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছিলেন, ওয়াশিংটন একতরফাভাবে শুল্ক কমাবে না এবং চীনকে অবশ্যই ছাড় দিতে হবে।

সূত্র: বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024