শনিবার, ২১ Jun ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদনে পাকিস্তানি গণমাধ্যম সামা নিউজ জানায়, অন-এয়ারে কথা বলতে গিয়ে রবার্টসন বলেন, ‘আমি এমন একজন সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছি, যিনি আলোচনার ঘরেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ছিলেন এবং জানা গেছে, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই উদ্যোগ গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলছিল।’
রবার্টসনের ভাষ্যমতে, পাকিস্তান কিছু সময়ের জন্য সামরিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিল, যা কূটনৈতিক আলোচনার একটি সুযোগ তৈরি করে। তবে শনিবার ভোরে ভারত তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালালে সেই সুযোগ ভেঙে পড়ে—যার একটি ছিল রাজধানীর কাছাকাছি।
এর জবাবে পাকিস্তান তীব্র ও ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল ভারতের সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি ও অস্ত্রাগার।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের জন্য এখনও একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হলো পানির প্রবাহ। কাশ্মীরের পাহাড় থেকে উৎপন্ন তিনটি নদীর পানি ভারত কেটে দিয়েছে, যা পাকিস্তানের জন্য অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের বরাতে রবার্টসন বলেন, ‘এটি আপাতত একটি যুদ্ধবিরতি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে শান্তি স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত। রাত্রি জেগে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। সবাই মনে করছিল, কূটনীতি ব্যর্থ হলে পরিণতি হতে পারত আরও ভয়াবহ—এটা ছিল ‘‘এখন না হলে আর কখনও নয়’’ ধরনের পরিস্থিতি।’