সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর জেলা কর্ণধার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে মেহেরপুরে পাঁচ দফা দাবিতে ইসলামীক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের মানববন্ধন মেহেরপুরে কাল বৈশাখীর হানা,  ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি কৃষি ও প্রবাসী আয়ই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড – মনির হায়দার এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ বিপ্লবের পর আশাবাদের বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন নেই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ: পাকিস্তানের প্রশংসা করে যা বলল চীন আকাশে খুলে গেল চাকা, যাত্রী নিয়ে শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ বিমানের মসজিদ-মাদরাসাসহ ৩৫০ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দিলো ভারত যৌক্তিক দাবি মেনে নিলে ২ মিনিটে ক্যাম্পাসে ফিরবো: শিক্ষক সমিতির সম্পাদক

ভারত নিজেরাই হামলা করে নাটক সাজিয়েছে: সাইফুল্লাহ খালিদ

ভারতশাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনাকে নিজেদের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন লস্কর-ই-তৈয়বার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ খালিদ ওরফে সাইফুল্লাহ কাসুরি। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজারের।

সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি) সাইফুল্লাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত নাটক করছে। ওরা নিজেরাই এই হামলা করিয়েছে।

পেহেলগামে হামলার সঙ্গে পাকিস্তান বা তার কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্র নেই।’
ভিডিওতে তিনি আরো বলেন,  ‘জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই আমরা। এই হামলার অজুহাতে ভারতীয় মিডিয়া আমাকে দায়ী করেছে। পাকিস্তানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চায়। সে একজন ভয়ঙ্কর শত্রু। ভারতই কাশ্মীরে ১০ লক্ষ সেনা পাঠিয়ে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করেছে।

ভারত নিজেই পেহেলগামে আক্রমণ চালিয়েছে এবং এর জন্য তারা দায়ী। এটা তার ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, মঙ্গলবার পেহেলগামের জঙ্গি হামলার মূল হোতা ছিলেন সাইফুল্লাহ খালিদ। তার নির্দেশেই পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি মঙ্গলবার দুপুরে বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায়।তবে এসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে হামলার দায় এড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনার দায় নিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতির আবহে জন্ম হয়েছিল এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর।

সে সময় লস্কর-ই-তৈয়বার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। আর সাইফুল্লাহ ছিলেন এই সংগঠনের অন্যতম প্রধান। তাই টিআরএফ হামলা চালালেও পুরো পরিকল্পনাই করেছিলেন সাইফুল্লাহ, এমনই মনে করছিল ভারতের গোয়েন্দা সূত্র।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024