সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজার পর আজিমপুর কবরস্থানে ব্যারিস্টার রাজ্জাককে দাফন করা হয়।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানান ব্যারিস্টার রাজ্জাকের চেম্বারের জুনিয়র ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
সুপ্রিম কোর্টে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী জানাজা পড়ান। তার আগে ছোট ছেলে ইমরান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী তার প্রয়াত বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
জানাজা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ) আধাবেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকবার্তা দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিচার বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোকবর্তায় বলেন, ‘ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রয়াণে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং জাতি একজন বিদগ্ধ আইনজ্ঞকে হারিয়েছে।’
১৯৯৪ সালে তাঁকে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় তাঁকে। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায়ও যুক্ত হন।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন। যুক্তরাজ্যে থাকাবস্থায় ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রাজ্জাক।
এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ২০২০ সালে আবদুর রাজ্জাকের প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বছর সেপ্টেম্বরে তাঁকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তিনি এবি পার্টির উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সম্প্রতি তাঁকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।