সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর জেলা কর্ণধার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে মেহেরপুরে পাঁচ দফা দাবিতে ইসলামীক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের মানববন্ধন মেহেরপুরে কাল বৈশাখীর হানা,  ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি কৃষি ও প্রবাসী আয়ই বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড – মনির হায়দার এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ বিপ্লবের পর আশাবাদের বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন নেই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ: পাকিস্তানের প্রশংসা করে যা বলল চীন আকাশে খুলে গেল চাকা, যাত্রী নিয়ে শাহজালালে নিরাপদে অবতরণ বিমানের মসজিদ-মাদরাসাসহ ৩৫০ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দিলো ভারত যৌক্তিক দাবি মেনে নিলে ২ মিনিটে ক্যাম্পাসে ফিরবো: শিক্ষক সমিতির সম্পাদক

পাকিস্তানের যে হাতিয়ার ভারতীয় জেনারেলদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে

কীভাবে পেহেলগাম হামলার বদলা নেবে নয়াদিল্লি? ব্যাপারটা নরেন্দ্র মোদি প্রশাসনের মান-সম্মানের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সেই প্রত্যাঘাতকে কেন্দ্র করেই ভারত ও পাকিস্তান পুরোদস্তুর যুদ্ধে জড়াবে নাকি বেছে নেবে বিকল্প কোনো পথ? এ প্রশ্নের আপাতত কোনো উত্তর নেই। তবে পাকিস্তানের একটি অস্ত্র ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘুম কেড়ে নেয়ার জোগাড় করেছে।

পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর ওই বিশেষ অস্ত্রটি হলো এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বা অ্যাওয়াক্স। এটি প্রকৃতপক্ষে বিমানের পিঠে বসানো অত্যাধুনিক উড়ন্ত রাডার। ইসলামাবাদের হাতে এই ধরনের মোট ১১টি বিমান রয়েছে। মাঝ-আকাশে ‘ডগফাইট’-এর সময় এগুলোর সাহায্যে ভারতীয় জেটকে বিপথে চালিত করতে পারে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।

তাই একে রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের আস্তিনের লুকানো সাপই বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

এ অ্যাওয়াক্স বিমানগুলোকে মাঝ-আকাশে কমান্ড সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। সেগুলোতে রয়েছে অতি শক্তিশালী সুইডিশ অ্যারে রেডার। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা অ্যাওয়াক্স বিমানগুলিকে ইসলামাবাদের ‘চোখ’ ও ‘কান’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এগুলোর জন্য সীমান্তে পাকিস্তানের নজরদারির ক্ষমতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসারেরা মনে করেন, অ্যাওয়াক্স বহরের জন্যেই কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এগুলোর নজর এড়িয়ে পাকিস্তানে বিমানহানা চালানো বেশ কঠিন বিষয়। তাই ভারতের যুদ্ধবিমান ইসলামাবাদের আকাশসীমায় ঢুকলেই অ্যাওয়াক্সের মাধ্যমে সেগুলোকে চিহ্নিত করতে পারবেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। শুধু তা-ই নয়, ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে চিনিয়ে দিতে পারে ওই উড়ন্ত রাডার।
বিশ্লেষকদের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত হয়ে গেলে মাঝ-আকাশে তা ধ্বংস করার সুযোগ পেয়ে যাবে পাকিস্তানি বাহিনী। কারণ, তাদের হাতে রয়েছে বেশ কয়েক ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আর তাই পেহেলগামের বদলার অপারেশন শুরুর আগে ইসলামাবাদের অ্যাওয়াক্স বিমানের বহর ধ্বংসের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় সেনা অফিসারেরা।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024