বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদের পলায়ন পরিকল্পনা নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সীমান্ত পার হয়ে দেশ ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে স্ত্রীর কাছ থেকে নেওয়া ৩০ হাজার টাকাই ছিল ফয়সালের শেষ সম্বল। এই অর্থ লেনদেনটি সম্পন্ন হয় অত্যন্ত গোপনে—মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
সূত্র আরও জানায়, ঢাকা থেকে সীমান্ত এলাকায় পৌঁছাতে ফয়সাল ও তার সহযোগী আলমগীর হোসেন পরিকল্পিতভাবে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং দুটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করেন। পালানোর পথে ঢাকার ধামরাই থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দিকে যাওয়ার সময় অর্থ সংকটে পড়লে ফয়সালের স্ত্রী প্রাইভেটকার চালকের নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠান।
ময়মনসিংহে পৌঁছে শহরের একটি দোকান থেকে ওই টাকা ক্যাশ-আউট করেন ফয়সাল। প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই গোপন লেনদেনের সূত্র ধরেই পুলিশ তার পলায়ন পথের মানচিত্র স্পষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে, হামলার নেপথ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক পলাতক শীর্ষ নেতার ব্যক্তিগত সহকারী এবং এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন।
পুলিশ জানায়, ফয়সালের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রাখা আরও দুই থেকে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। হামলার অর্থের জোগানদাতা ও রাজনৈতিক উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
অন্যদিকে, ফয়সাল করিম মাসুদের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগাজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় ফয়সালের মা–বাবাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।