সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের। গত কয়েক মাসে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে উঠে আসছে তাদের নাম। কেউ ঘুস নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ছেন, কেউবা টাকা নিয়ে তুলে দিয়েছেন আয়কর নথি। কেউ রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস করেছেন, কেউ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং সংস্থাটির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তথ্য। প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অন্য দেশে সফর কিংবা ট্রাফিক পুলিশকে গালিগালাজ বিতর্ক-কোনোকিছুই বাকি নেই। এমনকি প্রায় দেড়শ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগও উঠেছে।
এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ গঠনে গত এপ্রিলে অধ্যাদেশ জারির পর সংস্থাটির মধ্যে এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। অধ্যাদেশ বাতিল ও চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ‘সিবিএ স্টাইলে’ ধর্মঘট, কলম বিরতি, মার্চ টু এনবিআরের মতো কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তারা। কর্মসূচি চলাকালীন নির্দিষ্ট কিছু সেবা ছাড়া সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। মে ও জুন মাসে বাজেট প্রণয়ন এবং রাজস্ব আদায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অচলাবস্থা তৈরি করেন কর্মকর্তারা। আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজনের বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মতো ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণও’ দেখা যায়। তাদের এ ধরনের অপেশাদার ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে সংস্থাটি বেশ ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে।