শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ডাকসুর উদ্যোগে উচ্চশিক্ষা ও রিসার্চ প্রপোজাল প্রস্তুতির উপর বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়াজুড়ে এক হাজারেরও বেশি শিশু-কিশোর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে ‘জাতীয় সীরাত কুইজ প্রতিযোগিতায়’ অংশগ্রহণের জন্য ‘রাসূল (সা.) আদর্শ জানবে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রজন্ম’! ওবায়দুল কাদেরের ভাই গ্রেপ্তার এইচএসসিতে ফেল ৫ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী চাকসুর ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয় মেহেরপুরে সাবেক পৌর বিএনপি সভাপতির নেতৃত্বে গণসংযোগ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে কোনো চুক্তি হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা আমার জানামতে, মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন: ক্রীড়া উপদেষ্টা আমি নিজেই পিআর বুঝি না: মির্জা ফখরুল এইচএসসির ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার, জানা যাবে যেভাবে

সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে বাধা নেই: প্রসিকিউটর তামিম

সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম। বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত বুধবার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত এবং ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এরপর প্রশ্ন উঠে— সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ওঠে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত বা বিচারের ক্ষেত্রে কোন আইন প্রযোজ্য হবে? এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর নিজস্ব আইনে সামরিক আদালতে, নাকি প্রচলিত ফৌজদারি আইনে বিচার করা হবে?

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে বাধা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংবিধান দ্বারা প্রোটেক্টেড। সংবিধানেই বলা আছে তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। অন্য যে কোনো আইন এই আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে সেই আইন বাতিল হবে, সংবিধান প্রিভেইল করবে। শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন যদি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে সেই অংশটুকু বাতিল হবে না। অর্থাৎ এই আইন সকল ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পাবে।

তিনি জানান, যে কোনো সিভিলিয়ান বা ডিসিপ্লিনারি ফোর্সের বিচার এই আইন করতে পারবে বলে এই আইনেই উল্লেখ করা আছে।

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ডিসিপ্লিনারি ফোর্সের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা দিয়েছে, প্রথম হলো আর্মি, তারপরে নেভি, তারপরে এয়ারফোর্স, পুলিশ, র‍্যাব, যে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে ক্যাটাগরিক্যালি বলে দিয়েছে। এই আইন তৈরির শুরু থেকেই আর্মিদের বিচার করার পাওয়ার আছে। কর্মরত হলেও আর্মিদের বিচার সেনা আইনে করার কোনো সুযোগ নেই। বিচার এই আইনেই হতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025