শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় ছাত্রদল রাষ্ট্রের স্বার্থে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিল বলে জানিয়েছেন পরাজিত ভিপি প্রার্থী ও ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গণ বিষয়ে তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তার তৃতীয় সংলাপে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবিদ বলেন—খুব দ্রুত ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের অবস্থান সম্পর্কে জানানো হবে। ২০১৯ সালের ডাকসু নিয়ে এখনো কথা উঠছে। সুতরাং সবেমাত্র এ নির্বাচনও শেষ হয়েছে। সেখানে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসবের যথার্থ জবাবদিহিতা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন করতে না পারে। তাহলে এই নির্বাচনও পুনরায় হওয়ার সুযোগ অবশ্যই আছে। এবং আমরা সেটা আদায় করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
ছাত্রদলের এই ভিপি প্রার্থী বলেন—নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পূর্বের নির্বাচনি সংস্কৃতিতে ফেরত যাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করিনি, ধৈর্য ধরেছি। নতুন বাংলাদেশের নতুন ছাত্র রাজনীতি প্রচলনে ভূমিকা রেখেছি। ভোটে একটা জাল বিছানো হয়েছিল। সেখানে আমাকে ভিলেন বানানো হয়েছিল।
নির্বাচনে ছাত্রদলের ভরাডুবি সম্পর্কে আবিদ বলেন—নির্বাচনের এ পরাজয়কে আমরা পরাজয় বলতে চাই না। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অদৃশ্য রাজনৈতিক শক্তি আধিপত্য বিস্তার করছে।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছে সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছে ফরহাদ হোসেন। তারা দুজনই ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন। ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভিপি পদে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন সাদিক কায়েম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ও শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট।
জিএস পদে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়েছেন এসএম ফরহাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট ও মেঘমল্লার বসু ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।