বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
এনসিপি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি জোটের প্রার্থীর দলীয় প্রতীকের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারে বিএনপির চিঠি বাংলাদেশে আজ সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমে বিক্রি হবে প্রতি ভরি স্বর্ণ মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি গোলাম রসুল ইন্তেকাল ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব: জামায়াতে আমির ধরা পড়ছেন এনবিআরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অস্ট্রেলিয়ায় যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত। অস্ট্রেলিয়ায় যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত ঐক্য নষ্ট হলে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের পথ তৈরি হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর গাজায় ৫০০ শিশু হত্যা

যুদ্ধবিরতিতেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা থামছেই না। অব্যাহত রয়েছে হামলা, আর সেই হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে শত শত শিশু।

গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে মোট ১,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শিশু। আহত হয়েছেন সোয়া এক লাখের বেশি, এর মধ্যে ৩৪ হাজারের বেশি শিশু।

শনিবারও হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজার তুফা, মধ্য গাজার বেইত লাহিয়া এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে চালানো হামলায় নিহত হন আরও ১৫ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন এক নবজাতকও।

বেইত লাহিয়ার এক হামলায় একটি শিশুর হাত ছিন্ন হয়ে যায়, পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানিয়েছেন, ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় ২২৪টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৩৬টি হামলায় নিহতদের সবাই ছিলেন নারী ও শিশু।

এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠন ‘আল-হক’ এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের বরাতে জানানো হয়, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

তাদের মতে, আধুনিক ইতিহাসে কোনো সংঘাতে এমন নৃশংসতা, এমন পরিকল্পিতভাবে শিশু ও নারীদের হত্যা নজিরবিহীন। 

সূত্র: রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025