মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :

‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো হয়তো কোনো ভূখণ্ডই অবশিষ্ট থাকবে না’

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং সতর্ক করে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কোনো ভূখণ্ডই হয়তো অবশিষ্ট থাকবে না।’ গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বর্ধিত সহিংসতার ও দখলের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওং এ মন্তব্য করেন। যদিও তিনি স্পষ্ট করেননি যে অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার নীতি পরিবর্তন করতে যাচ্ছে।

তার এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন সিডনিতে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিশাল এক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ অংশ নেয়।

গাজায় মানবিক বিপর্যয়, নারী ও শিশু হত্যা এবং সাহায্য বন্ধ রাখার ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ানদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা (যেমন নিষেধাজ্ঞা) নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না’।

অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে নেতানিয়াহু সরকারের দুই চরমপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোটরিচ-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলতে চাইছেন বলে জানা গেছে। আলবেনিজ বলেছেন, তিনি ‘দুই রাষ্ট্রের সমাধান’-এর প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন।

তবে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস-এর নির্বাহী পরিচালক রাওয়ান আরাফ বলেন, আলবেনিজের একমাত্র আলোচনা হওয়া উচিত অস্ট্রেলিয়া-ইসরায়েলের মধ্যকার অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ করা, নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য প্রেরণ করা।

সূত্র: আল জাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025