শনিবার, ২১ Jun ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

‘এই ভালোবাসা আমি আজীবন মনে রাখব’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নুসরাত ফারিয়া কারামুক্ত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি কারামুক্ত হন। ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কারামুক্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

এ সময় তার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। এরপর নুসরাত ফারিয়া লেখেন, এই সময়টাতে যারা সর্বক্ষণ আমার পাশে ছিলেন সেসব মানুষকে মন থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমার সহকর্মী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সবাই, এমনকি আপামর সাধারণ মানুষ যারা আমার হয়ে কথা বলেছেন, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন, পাশে থেকেছেন তাদের এই সাপোর্ট/ভালোবাসা আমি আজীবন মনে রাখব।

সেই সঙ্গে তিনি এও লিখেছেন, আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারতাম না।

সর্বশেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি এই নায়িকা। ফারিয়া বলেন, ‘বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের গণমাধ্যমকর্মীদের, তাদের এই সাপোর্টটা ভীষণ দরকার ছিল। আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসার কথা আমি সব সময় মনে রাখব।’

এর আগে মঙ্গলবার সকালে নুসরাত ফারিয়াকে জামিন দেন আদালত।

উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে অভিনেত্রীকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর ফারিয়াকে ডিএমপির ভাটারা থানায় থাকা এক হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়।এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়— অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024