শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:২০ অপরাহ্ন
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে সম্প্রতি সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান সিনেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়। খবর জিও নিউজের।
প্রস্তাবে পাকিস্তান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও পানির অধিকার রক্ষায় যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা প্রস্তুত এবং ‘সম্পূর্ণ জাতীয় শক্তির’ মাধ্যমে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আগ্রাসনের চিন্তা করে, তবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। অতীতের মতো এবারও কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
সিনেটের প্রস্তাবে পাহালগাম হামলায় পাকিস্তানকে জড়ানোর ভারতীয় প্রচেষ্টাকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে ভারতের একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদের পানিচুক্তি স্থগিত ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন এবং যুদ্ধ ঘোষণা বলেও অভিহিত করা হয়।
পিপিপি সিনেটর ও সাবেক জলবায়ু মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, ‘মোদি সরকার বহুদিন ধরেই পানি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, কিন্তু যদি কেউ যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুগে নেই, কিন্তু কেউ যদি সেই পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তাহলে আমরা পিছু হটব না।’
শেরি রেহমান আরও বলেন, ‘তোমরা পুলওয়ামার পর আমাদের চা খেয়েছিলে। এখনো আমাদের কাছে পানি আছে, দুধ মিশিয়ে আবারও চা বানিয়ে দেব।’ তার এই মন্তব্যে পুরো সিনেটে হাস্যরসের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং উপস্থিত সদস্যরা করতালি দিয়ে তার বক্তব্যে সায় দেন।
প্রস্তাবে বলা হয়, পাকিস্তানের জনগণ শান্তিপ্রিয়, তবে দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ রক্ষায় তারা কখনো পিছিয়ে থাকবে না।
সিনেটের এই সর্বসম্মত প্রস্তাব এমন এক সময়ে পাস হলো যখন ভারত সিন্ধু নদের পানিচুক্তি স্থগিত করেছে, সীমান্ত বন্ধ করেছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছে এবং পাকিস্তানকে ‘জঙ্গি-সমর্থক’ বলে দোষারোপ করছে—যার পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এখনও উপস্থাপন করেনি।