শনিবার, ০৫ Jul ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
পৃথিবীতে আমরা যত নিয়ামত লাভ করি, এর মধ্যে নেককার স্ত্রী অন্যতম প্রধান নিয়ামত। স্ত্রী নেককার ও চরিত্রবান হলে পরিবারে জান্নাতি আবেশ বিরাজ করে, অন্যথায় শান্তির পরিবার হয় সাক্ষাৎ জাহান্নাম। তাই তো হাদিসের ভাষায় নেককার স্ত্রীকে উত্তম নিয়ামত এবং মহা সৌভাগ্য বলা হয়। আর বদকার স্ত্রী হলো দুর্ভাগ্যের খোলা দরজা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আদম সন্তানের সৌভাগ্য তিনটি আর দুর্ভাগ্যও তিনটি। সৌভাগ্য তিনটি হলো, দ্বিনদার-নেককার স্ত্রী, ভালো বাসস্থান, ভালো সওয়ারি বা বাহন। আর দুর্ভাগ্য তিনটি হলো, খারাপ স্ত্রী, খারাপ বাসস্থান ও খারাপ সওয়ারি। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৪৪)
একজন নেককার স্ত্রী মুমিনের জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন।
(আল-মুজামুল কাবির, তাবরানি,
হাদিস : ১১২৭৫; আল-মুজামুল আওসাত, তাবরানি, হাদিস : ৭২১২; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস : ৭৪৩৭)
হাদিসের ভাষ্য—‘দ্বিনদারিকে প্রাধান্য দাও বা তুমি দ্বিনদার নারী পেয়ে সফল হও’—এর ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রহ.) বলেন, এর অর্থ হলো, লোকেরা সাধারণত মেয়েদের চারটি গুণ দেখেন—সম্পদ, বংশমর্যাদা, রূপ-সৌন্দর্য ও দ্বিনদারি। আপনি সাবধান থাকুন, ধার্মিকতাকে গ্রহণ করুন এবং ধার্মিক মেয়েকে সঙ্গিনী করে ধন্য হোন। (শরহে রিয়াজুস সালিহীন : ৩/২৪৪)
ইমাম নববী (রহ.)-এর ব্যাখ্যার সারমর্ম হলো, এখানে অন্যান্য গুণ ও বৈশিষ্ট্য বিবেচনা থেকে একেবারে বাদ দিতে বলা হয়নি, বরং দ্বিনদারিকে প্রথম বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে, কারণ এটিই সব কল্যাণের উৎস; এর কোনো পরিবর্তন বা রূপান্তর হয় না।