মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন

ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত, ধারণা বেবিচকের

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

 

 

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

 

 

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। অনেকগুলো সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, তাদের তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।

 

 

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। আর এ সময় বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যত যাত্রী আটকে পড়েছিলেন তাদের পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।

 

 

তিনি জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের আরও দল যোগ দিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল—বিশেষ করে ইমপোর্ট কার্গো টার্মিনাল এলাকায়—আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্রথমে টাওয়ার থেকে ধোঁয়া দেখা যায়, এরপর খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।

 

 

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত হয় ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে। তবে এটি এখনো তদন্তাধীন বিষয়। একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। সঠিক কারণ তারা বের করবেন। নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

 

 

তিনি আরও বলেন, আগুনের সময় উত্তর পাশে বিমানের হ্যাঙ্গার এবং দক্ষিণ পাশে মূল টার্মিনাল ভবন ছিল, কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় আগুন সেই অংশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েনি। আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

 

 

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক জানান, ধাপে ধাপে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে বিমানবাহিনীর একে খন্দকার ঘাঁটি থেকে তিনটি ফায়ার ভেহিকল আসে। ২০ মিনিটের মধ্যে বাসার বিমানঘাঁটি থেকেও দুটি ভেহিকল যোগ দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টির বেশি ফায়ার ফাইটিং ভেহিকল আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। বাহিনীগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

 

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আগুন লাগার সময় টার্মিনালের ভেতরে বেশ কয়েকটি বিমান ছিল। আমরা দ্রুত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি, যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকে। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই কাট-অফ মেকানিজম ব্যবহার করে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই।

 

 

সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025