সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

হাসিনাসহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ডাকসু-জাকসুর

শুরুতে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, প্রথম সারিতে র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, হারুন অর রশিদ, আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম। দ্বিতীয় সারিতে ব্রি. জে. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম। তৃতীয় সারিতে ব্রি. জে. কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।

গুম-খুনের মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সামরিক জেনারেলদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) বিবৃতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত বিপথগামী সেনা অফিসারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার গুম কমিশনের প্রকাশিত তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্র নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন সাদিক কায়েম। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, গত পনেরো বছরের দুঃশাসনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।

ডাকসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘গুম, খুন, ধর্ষণসহ রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘটিত সব অপরাধের বিচার কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না। যারা এসব জঘন্য অপরাধে জড়িত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বা পেশাগত অবস্থান যাই হোক না কেন, অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, গত পনেরো বছরে রাষ্ট্রের সামরিক ও বেসামরিক কাঠামোকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। গুম হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ওয়ালীউল্লাহ, আল মুকাদ্দাস, ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার এখনো ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় দিন কাটাচ্ছেন। অথচ এসব অপরাধে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়ায় এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে।’

ভিপি সাদিক আরও বলেন, যে কোনো পরিচয়ের খুনি, ধর্ষক বা গুমকারী-তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শান্ত থাকবে না। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত কয়েকজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যা বিচার নিশ্চিতকরণে আশঙ্কা তৈরি করছে। ডিজিএফআই, র‍্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। এই অপরাধের দায় থেকে শেখ হাসিনা ও তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসন কোনোভাবেই মুক্ত নয়।

ফ্যাসিবাদের সময়ে পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ব্যবহার করে দেশে একটি মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিলো। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন ইত্যাদির সাথে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীসহ, ডিজিএফআইয়ের সরাসরি অংশগ্রহণে এসব সংগঠিত হয়। যারা স্পষ্টত অপরাধের সাথে জড়িত তাদের সঠিক বিচার নিশ্চিত না করতে পারলে আমরা ইনসাফের দিকে আগাতে ব্যর্থ হবো, এবং তা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পথ পুনরায় তৈরি করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024