শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

মিথ্যা বলেছেন টিউলিপ, স্টারমারের নতুন দুঃস্বপ্ন

টিউলিপ সিদ্দিককে কেন্দ্র করে নতুন সংকটে পড়েছে লেবার পার্টি। বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট ইস্যু করা নিয়ে টিউলিপ বলেছিলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে নতুন প্রকাশিত অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, টিউলিপের দাবির সত্যতা নেই, তিনি মিথ্যা বলেছেন। আর এই ইস্যুতে ফের চাপের মুখে পড়তে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে তার পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছিল, যখন তিনি তখন ১৯ বছর বয়সী ছিলেন, এবং ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু হয়েছিল।

দ্য টাইমসের তথ্যমতে, টিউলিপ সিদ্দিক বারবার দাবি করেছেন—তিনি কোনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র পাননি এবং শৈশবের পর থেকে পাসপোর্টও রাখেননি। গত আগস্টে তার আইনজীবী স্টিফেনসন হারউডও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, ‘টিউলিপ কখনো বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি পাননি।’ তবে এসব পরিচয়ের বিষয়ে নতুন নথি প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি ও তার দল (লেবার পার্টি) একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের দাবি, এসব নথি জাল এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অ্যান্টি-করাপশন মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তদন্তে উঠে আসে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর পরিবারের যোগসূত্র লেবার সরকারকে সুনামের ঝুঁকিতে ফেলছে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমর্থন তিনি ধরে রেখেছিলেন। টিউলিপ দাবি করেছিলেন, তিনি সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন এবং একদিন আবার মন্ত্রিসভায় ফিরতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024