সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
ভারতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই উন্নয়ন নজরদারিতে রেখেছে বলে জানিয়েছে এএনআই।
এই ঘোষণার আগে পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত কঠোর কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নেয়। হামলায় ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ভারতের দাবি, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সরাসরি হাত রয়েছে এই হামলার পেছনে।
ঘটনার পর ভারত একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়—বাতিল করে ১৯৬০ সালের ইন্দাস জলচুক্তি, বন্ধ করে দেয় ওয়াঘা সীমান্তের অ্যাটারি চেকপোস্ট, বাতিল করে পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম’ এবং ইতিমধ্যে দেওয়া ভিসাগুলোও বাতিল ঘোষণা করে। ভারতের ভিসায় বর্তমানে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন ও উন্নয়নের ধারায় যখন রাজ্য এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই এই হামলা ঘটেছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চেষ্টা।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানও দ্রুত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যখন গুরুতর বিষয় ওঠে, তখনই এমন বৈঠক ডাকা হয়।’
পাশাপাশি পাকিস্তানের এক মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘মিথ্যা অজুহাতে কেউ কোনো রকম ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ চালালে তার ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।”