বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ৬ মাসের ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

গত ১৯ জুন শেখ হাসিনা এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিযুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া ওইদিন আদালত অবমাননার এই মামলায় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। আর আজকে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগনেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে গত ৩০ এপ্রিল তাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ২৫ মে নির্ধারিত তারিখে তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। নির্দেশ অনুযায়ী দুটি সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তারা হাজির হননি।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারাদেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা গাইবান্ধার আওয়ামী লীগনেতা শাকিল আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, ‘যারা মামলা করেছে তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’এদের বাড়ি–ঘর ভাঙচুরের জন্য তিনি নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ) সাক্ষীদের ভয়–ভীতি দেখিয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন। পরে পদক্ষেপ নিতে আবেদন করলে আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024